রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কুরআন শরীফে অগ্নিসংযোগের ঘটনার মূল সন্দেহভাজন এখন পুলিশ কাস্টোডিতে

- Md. Jahangir Alam Rajshahi
- 04 Feb, 2025
গত ১২ জানুয়ারি ২০২৫ইং রাতের অন্ধকারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটানো হয় ন্যাক্কারজনক এক ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের সাদে মুসলমানদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ "আল-কুরআন" পুড়িয়ে ফেলে দূরবিত্তরা। এর প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী মিছিল সমাবেশে করে এবং প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেন অপরাধীদের সনাক্ত করার জন্য।
এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিশ্বাবিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি মহোদয় জনাব সালেহ হাসান নকিব তার ফেসবুক পেজে এক স্টাটাসে বলেন, "আমাদের প্রিয় এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গভীর এক চক্রান্ত চলছে। যেকোনো উপায়ে এটা অস্থিতিশীল করার জন্য কিছু পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে। অন্তত চারটি হলে পবিত্র কুরআন শরীফ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য পরিস্কার, মুসলিমদের অত্যন্ত প্রিয় একটি জায়গায় আঘাত করা।
তিনি জানান, এটা সুস্পষ্ট উস্কানী। একদল অত্যন্ত নীচ মানুষ নামের কলংক এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
আমি আমার ছাত্রছাত্রীদের ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা এই উস্কানীমূলক কর্মকাণ্ডের ফাঁদে পা দেয় নি। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছে। আমরা দুস্কর্মকারীদের জিততে দেব না। তারা চায় আমাদের ভেতর সম্প্রীতি নষ্ট করতে, এটা আমরা হতে দিতে পারি না। "
তিনি আরো বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় ধর্ম, বর্ণ, আঞ্চলিকতার উর্ধ্বে, সবার। সকল ছাত্রছাত্রীর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর সমান অধিকার। আমাদের এই প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কাউকে আমরা খেলতে দিব না। তিনি বলেন এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শীঘ্রই অপরাধীদের পাকরাও করা হবে। (১২ জানুয়ারি ২০২৫ ইং)
ভিসি মহোদয় ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ইং রোজ মঙ্গলবার এ তার ফেসবুক পেজে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কুরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ ঘটনার মূল সন্দেহভাজন এখন পুলিশ কাস্টোডিতে।
আমরা যথাসময়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।
আমাদের তদন্ত কমিটি অসাধারণ কাজ করেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীদের, যাদের সহযোগিতা ছাড়া ঘটনা ঘটার ৪৮ ঘন্টার ভেতর আমাদের তদন্ত কমিটি সন্দেহভাজন সনাক্ত করতে পারত না। অসংখ্য ধন্যবাদ পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে যারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।
কিন্তু তিনি অপরাধীদের কারো নাম উল্লেখ্য করেন নি।
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *